“যখন তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করলেন যে, যদি কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর, তবে তোমাদেরকে আরও দেব এবং যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি হবে কঠোর।” আল কুরআন(১৪:৭)
১। মুচকি হাসুন। এর অর্থ হল আপনি আপনার অবস্থার উপর সন্তুষ্ট আছেন। এটা আল্লাহপাকের শোকরের লক্ষণ।
২। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করুন।
৩। সুযোগ পেলেই বেশী করে “আলহামদুলিল্লাহ” পড়ুন।
৪। সুন্নাহ অনুযায়ী“মাশাআল্লাহ” বলুন।
৫। কেউ কোন সাহায্য বা উপহার অথবা কোন কাজ সহজ করে দিল “জাযাকাল্লাহু খাইর” বলুন।
৬। খুব ছোট বিষয়ে হলেও মানুষকে ধন্যবাদ দিন।
৭। “সেজ্দায়ে শুকুর” আদায় করুন।
৮। আপনার জীবনের সেই সব নিয়ামতসমূহের তালিকা করুন যার জন্য আপনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন। সেগুলো বার বার মনে করুন।
৯। পরিবারের সদস্যদের ভালবাসুন।
১০। হাদিয়া আদান প্রদান করুন।
১১। কেউ কোন ব্যাপারে সাহায্য করে থাকলে তাঁর এই প্রয়াসকে ধন্যবাদ স্বরুপ স্বীকৃতি দিন।
১২। অপরিচিতদের প্রতি দয়ার্দ্র ব্যবহার করুন।
১৩। সাধ্যমত দান খয়রাত করুন।
১৪। মুরব্বীদেরকে তাদের কাজে কর্মে সাহায্য করুন।
১৫। প্রতিবেশীর খোঁজ খবর নিন।
১৬। আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন পরীক্ষা আসলে ধৈর্য ধরুন। বিশ্বাস করুন, নিশ্চয় এর ফলে ভাল কিছু হবে।
১৭। কেউ কোন বিপদে পড়লে তাঁকে সাধ্য মতো সাহায্য করুন।
১৮। অন্য ভাইদের জন্য বেশী করে দূয়া করুন।
১৯। আপনি কাউকে ভালবাসলে তাঁকে সেটা প্রকাশ করুন।
২০। সবার ক্ষেত্রে ইহ্সান প্রদর্শনের চেষ্টা করুন।
২১। অন্যের দোষত্রুটি পারত পক্ষে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করুন।
২২। জীবনের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র নিয়ামতকেও সনাক্ত করতে শিখুন।
২৩। আরেক দ্বীনি ভাইয়ের ব্যবসায় সাহায্য করুন। অন্য ভাইয়ের পণ্য ক্রয় করেও ব্যবসায় সাহায্য করা যায়।
২৪। আলামগণ ও নেকবান্দাদের সান্নিধ্যে থাকার চেষ্টা করুন।
২৫। নিয়মিত সালাতুত্ তাহায্যুদ আদায় করুন।
নবী (সাঃ) এরশাদ করেন, “যে মানুষের শুকরিয়া আদায় করেনা, সে আল্লাহতাআলার শুকরিয়া আদায় করেনা।” (আবু দাউদ, ৪৮১১)
-শাইখ আবু মুয়াবিয়া