লেখক :,কামরুল আহমেদ,প্রকাশনী :,আশরাফ বুক ডিপো,বিষয় :,অন্ধকার থেকে আলোতে,পৃষ্ঠা: ২৫৬,শার’ঈ সম্পাদক : Abdul Qaiyum Hanafi,সম্পাদিকার চোখে ‘ফাতিমা কুসুম’—,নাস্তিকতাবিরোধী বই সাজিদ, শনি, আরজু এসব পড়ার পর চরিত্রগুলো এতই ভালো লেগেছে যে ভাবতাম এই চরিত্রটি নারীর ভূমিকায় কেমন দেখায়! বিষয়টা মাথায় আসলেও বাস্তবায়ন করার ক্ষমতা ছিলো না৷ তবে আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন কোন একটা উসিলা দিয়ে হলেও এই বিষয়ে কাজ করার সুযোগ করে দিলেন, আলহামদুলিল্লাহ৷,মূলত নাস্তিকতা মানে সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাস নয়, বরং অন্ধ ইসলামবিদ্বেষই নাস্তিকতা৷ ইসলামবিদ্বেষী এই সেক্যুলারিস্টরা ইসলামের বিধি-বিধানকে বন্দি কারাগার হিসেবে প্রমাণ করতে হরদম ব্যস্ত৷ পশুদের ন্যায় জীবন অতিবাহিত করার নিমিত্তে বিজ্ঞানের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা স্রষ্টার অবিশ্বাসীগণ ঐশী কিতাব আল-কুরআনকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে৷ অথচ বিজ্ঞান যখন কুরআন নামক এই কষ্টিপাথরের বাণীর সত্যতার প্রমাণ দেয়, তখন তারা উটপাখির মতো মুখচোরা স্বভাব নিয়ে বিজ্ঞানকেও নীরব খুনের অপচেষ্টা চালায়৷ এছাড়াও একদল লোক আছে যারা আমের পোকার ন্যায় ইসলামের গন্ডিতে থেকে ইসলামকেই ধ্বংস করতে চায়৷ ইসলামের নামে ধর্মান্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায়৷ উক্ত দু’দলের ব্যক্তিরা স্বপ্ন দেখে পৃথিবী থেকে ইসলাম বিলুপ্ত করার, যেন মনুষ্যত্বকে বলি দিয়ে পশুত্ব বরণে আর কোন বাঁধা না থাকে৷ এদের আকাশ কুসুম ভাবনা, অবান্তর ও অযৌক্তিক প্রশ্নের জবাব দিতে এবং তাদের সাজানো অন্ধকারে সমাজের সাধারণ মানুষদের গোমরাহ হওয়া থেকে মুক্ত করতে এই পৃথিবীতে একদল প্রদীপের জন্ম হয়৷ যারা সমাজের এত সব মিথ্যার ভীড়েও অদম্য সাহস নিয়ে সত্যের আলো জ্বালায়৷ সেই অন্ধকারের প্রদীপ, সেই সাহসীদের একজন হলো ফাতিমা কুসুম৷ এটিই গল্পের মূল নারী চরিত্র৷
There are no reviews yet.